প্যারিসে ‘ফ্রাঙ্কো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ ফেস্টিভ্যাল’ মাতিয়ে গেলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল নগরবাউল, শিরোনামহীন ও ‘আইলারে নয়া দামান’খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শিল্পী মুজা।

রবিবার প্যারিসে স্তা স্টেডিয়ামে আয়োজিত উৎসবে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতাদের মন জয় করেন বাংলাদেশের এই সঙ্গীত তারকাবৃন্দ। দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত চলে উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের তারকা শিল্পীদের পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় মেতে উঠে পুরো স্টেডিয়াম। বিশেষ করে গুরুখ্যাত জেমসের কণ্ঠে কবিতা তুমি স্বপ্ন চারিনী হয়ে/মা/ আমার সোনার বাংলা/ গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া/ সুলতানা বিবিয়ানা/ পাগলা হাওয়ার তরে কালজয়ী এসব গানের মুগ্ধতা আর দর্শকদের উচ্ছ্বাস-ভালোবাসায় ভিন্নতা খুঁজে পায় শিল্প-সংস্কৃতির তীর্থভূমি প্যারিস।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান অফিওরা’র প্রেসিডেন্ট ও ফ্রঁসে আভেক রাব্বানীর প্রতিষ্ঠাতা কাউন্সিলর কৌশিক রাব্বানী খানের সঞ্চালনায় উৎসবের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, স্তা মেরির মেয়র আজেদী তাইবি, শাহ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ আলম সুমন, অর্পি’র ডিরেক্টর ওদিন তুয়াতি, কো-ডিরেক্টর ফারুক খান, অ্যামি ভয়াজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানজিম হোসাইন ও অফিওরার জেনারেল সেক্রেটারি শুভ দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সিলেটের বন্যার্তদের সহযোগিতার তহবিল সংগ্রহের জন্য বিসিএফ ও ইপিএস’র তত্বাবধানে দুইটি ডোনেশন বাক্স রাখা হয়। এতে প্রায় আড়াই হাজার ইউরোর দান করেন আগত বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।

সফল ও সুন্দরভাবে এ ঐতিহাসিক উৎসব সম্পন্ন করতে পেরে সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘অফিওরা’র কর্ণধার কৌশিক রাব্বানী খান জানান- মূলত, ফ্রান্সে বাঙালিদের মেলবন্ধনকে আরো সূদৃঢ় করার পাশাপাশি ফরাসি সংস্কৃতির মাঝে বাংলাদেশি কৃষ্টি-কালচার ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নিয়ে ছিল আমাদের এই আয়োজন।

তিনি বলেন, আশা করি- কিছু সময়ের জন্য হলেও প্যারিসের বুকে এক টুকরো অন্যরকম বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছেন সবাই।
রাব্বানীর বলেন- একটি সুশৃঙ্খল সুন্দর ও আনন্দযজ্ঞ অনুষ্ঠান উপহার দিতে পেরে আমরা তথা অফিওরা সংশ্লিষ্ট সবাই গর্বিত এবং আনন্দিত।

তিনি বলেন, পরবাসে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশন তথা প্রসারে এ রকম অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা প্রতি বছর অব্যাহত রাখার নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকবে।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সামাজিক এসোসিয়েশন অফিওরা’র উদ্যোগে ‘ফ্রাঙ্কো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ ফেস্টিভ্যাল-২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিস-ফ্রান্স, স্তা-মেরী ও বিসিসিপি স্তা’। এছাড়া আর্থিক সহায়তা প্রদান করে শাহ গ্রূপ এবং আভেক রাব্বানী প্রফেশনাল সার্ভিসেস।